ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪

এমপিওভুক্ত ল্যাব সহকারীদের ১৬তম গ্রেড কেন দেওয়া হবে না জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল 

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (কলেজ) কর্মরত এমপিওভুক্ত ল্যাব সহকারীদের ১৮ তম থেকে ১৬ তম গ্রেড কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। একই সাথে এই  ল্যাব সহকারীদের ল্যাবের বাহিরে কোনো কাজ না করানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মোঃ বশির উল্লাহ’র যৌথ বেঞ্চ এই রুল জারি করেন এবং নির্দেশনা দেন।

রুলে বিবাদী করা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এর মহাপরিচালক, মাউশির প্রশাসন ও কলেজ শাখার পরিচালক এবং মাউশির আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালকগণ।

রুলে ল্যাব সহকারীকের পক্ষে বাদী ছিলেন পরিতোষ রায় এবং আইনজীবী ছিলেন সাবেক সহকারী এটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট  মোঃ ইকবাল হোসেন। এর আগে গত রোববার ল্যাব সহকারিদের পক্ষে এই রিট পিটিশন দায়ের করা হয়।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ ল্যাব সহকারী ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বাদী পরিতোষ রায় বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ল্যাব সহকারী পদে কেউ পায় ১০ম গ্রেডে কেউ পায় ১২ বা ১৩ গ্রেড আর আমরা সেই একই পদে কর্মরত থেকে পাচ্ছি ১৮ তম গ্রেড। এছাড়াও ল্যাব সহকারিদের দিয়ে ল্যাবের বাহিরের অনেক কাজ করানোয় হয় এজন্য আমরা সুনির্ষ্ট  কর্ম নীতিমালার দাবি জানিয়ে আসছিলাম। এজন্য বিভিন্ন দপ্তরে একাধিকবার স্বারকলিপিও দিয়েছি। কোনো সমাধান না পেয়ে অবশেষে আমাদের মহামান্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে হলো। মহামান্য হাইকোর্ট আমাদের ল্যাবের বাহিরে কোনো কাজ না করাতে নির্দেশনা দিয়েছে এবং একই সাথে কেন আমাদের ১৬ তম গ্রেড দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে।

উল্লেখ্য, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে ল্যাবরেটরী সহকারীদের বেতন গ্রেড ১০ম এবং অন্যান্য অধিদপ্তরে ল্যাব সহকারীদের সর্বনিন্ম বেতন গ্রেড ১৬তম। অন্যদিকে বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস অনুযায়ী, ল্যাব সহকারীদের বেতন গ্রেড ১০, ১৩ এবং ১৬ তম কিন্তু  মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কলেজ পর্যায়ে বিজ্ঞান ও আইসিটি বিভাগে  ল্যাব সহকারীদের বেতন গ্রেড ১৮তম। যেখানে বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস অনুযায়ী যে পদের বিপরীতে যে গ্রেড তা পেলেও এক্ষেত্রে বঞ্চিত এমপিওভুক্ত এই ল্যাব সহকারীরা। এছাড়াও ল্যাব সহকারীদের কোন কর্ম নীতিমালা না থাকায় কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে ল্যাব সহকারীদের দিয়ে ল্যাবের বাহিরেও বিভিন্ন কাজ করানো হয়। অনেক সময় দেখা যায় এমপিও নীতিমালা অনুসারে ২০তম গ্রেডে কর্মরত কর্মচারীদের যে কাজ, সেই কাজও ১৮তম গ্রেডে কর্মরত ল্যাব সহকারীদের দিয়ে করানো হয়। এমতাবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে গ্রেড বৈষম্য ও কর্মনীতিমালার দাবি জানিয়ে আসছে কলেজ শাখার এমপিওভুক্ত ল্যাব সহকারীদের সমন্বয়ে গঠিত “বাংলাদেশ ল্যাব সহকারী ঐক্য পরিষদ। তারা মাউশির আঞ্চলিক কার্যালয়, মাউশিতে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার দাবি জানিয়ে স্বারকলিপি দিয়েছেন ইতিমধ্যে। কোনো সমাধান না হওয়ায় মহামান্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তারা।

পাঠকের মতামত: